anandadhara scheme details : Application Process 2024 : Eligibility Criteria

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে 17th May, 2012 সালে Anandadhara Scheme নামে একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামীণ বসবাসকারী দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন তাদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করে জীবিকা উন্নয়ন, আর্থিক স্বনির্ভরতা ও সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি করা। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তাদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

TopicDescription
Scheme NameAnandadhara Scheme
Launch date17th May, 2012
Launched ByCM Mamata Banerjee
Initiating AuthorityGovernment of West Bengal
ObjectiveEnhance financial self-reliance and social security for the rural poor and marginalized communities
Application processOffline
Official websitewww.anandadhara.wb.gov.in

Objective of anandadhara scheme

Anandadhara Scheme-এর মূল উদ্দেশ্য হল West Bengal-এর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়ন ও আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি সুদৃঢ় করা এবং দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা। প্রকল্পের মূল লক্ষ্যগুলি হলো:

  1. জীবিকা উন্নয়ন: বিভিন্ন ধরনের জীবিকা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের আত্মনির্ভর করে তোলা।
  2. স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন: গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ক্ষমতায়ন করা।
  3. আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো।
  4. সামাজিক সুরক্ষা: বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের সুরক্ষিত জীবনযাপন নিশ্চিত করা।
  5. প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি: বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে গ্রামের মানুষের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

Benefits And Features Of anandadhara scheme

Anandadhara Scheme মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কার্যক্রমের ফলে গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলো:

  1. আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত হয়েছেন। যেমন মৌসুমী শাকসবজি চাষ, মাছ চাষ, গ্রামে পশু-বান্ধব গোষ্ঠীর পশু পালন সদস্যদের প্রশিক্ষণ, টিকাদান এবং উন্নত জাতের পশুপালন।এই কর্মকান্ড গুলির মধ্যে দিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে পেরেছে।
  2. ঋণের সুবিধা : তাছাড়াও এই প্রকল্পের অধীনে একটি ব্যাঙ্ক ঋণ সুবিধাও পাওয়া যাবে। প্রকৃতপক্ষে, এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হল পিছিয়ে পড়া মেয়েদের এবং দরিদ্রদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য আবেদন প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে মেয়েদের স্বনির্ভর করা।
  3. সামাজিক সুরক্ষা: সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের সুরক্ষিত জীবনযাপন নিশ্চিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমার সুবিধা গ্রহণ করে তারা নিজেদের ও পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছে।
  4. দারিদ্র্য বিমোচন: হাসপাতালে রোগীর চিঠিপত্র প্রস্তুত ও সরবরাহ, ন্যাপকিন প্রস্তুত ও সরবরাহ, স্কুল ড্রেস প্রস্তুত ও সরবরাহ, মিড-ডে মিল তৈরি, সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়, রাস্তার পাশের হোটেল , চিপ ক্যান্টিন পরিচালনা, টেইলারিং হাব নির্মাণ, জৈব সার প্রভৃতি কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে তারা দরিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
  5. সামাজিক উন্নয়ন: আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আর্থিক স্বনির্ভরতা ও সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নেও প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
  6. প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি: এই প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেবার ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন ব্যবসায়িক বিষয়ে তথ্য প্রদানের পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এইভাবে, নিজেদের জীবনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

anandadhara scheme Eligibility Criteria

Anandadhara Scheme-এর সুবিধা পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে হয়। নিচে আমরা Anandadhara Scheme যোগ্যতার মানদণ্ডগুলির বিবরণ গুলিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল :

  • আবেদনকারী মহিলাকে অবশ্যই একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হতে হবে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীটি Anandadhara Scheme অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে।
  • আবেদনকারীদের অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • আবেদনকারীদের আয় কম হতে হবে এবং তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে (BPL) অবস্থান করতে হবে।
  • প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর মানুষরা এই প্রকল্পের আওতায় বিশেষভাবে অগ্রাধিকার পাবেন।
  • এই প্রকল্পে প্রধানত মহিলাদের লক্ষ্য করে গড়ে উঠেছে , তাই পরিবারের নারী সদস্যদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে।
  • স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য মহিলাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • গোষ্ঠীর সদস্যদের অবশ্যই নিয়মিত সঞ্চয় ও ঋণ গ্রহণের কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্ধারিত নীতিমালা ও নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
  • প্রকল্পের বিভিন্ন নিয়মাবলী এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশনের ভিত্তিতে যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।

anandadhara scheme Application Process

আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীদের কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এই প্রক্রিয়াগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আবেদনকারীরা সহজেই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। নিচে আনন্দধারা প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল:

  • প্রথম ধাপে, গ্রামের মহিলারা নিজেদের মধ্যে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী (Self-Help Group, SHG) গঠন করতে হবে। এই গোষ্ঠী কমপক্ষে ১০-১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে একটি Joint Bank Account তৈরি করতে হবে সরকারি ব্যাংকে।
  • গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে নিয়মিত সঞ্চয় ও ঋণ গ্রহণের কাজ শুরু করবেন।
  • এরপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে Anandadhara Scheme-এর আওতায় নিবন্ধিত করতে হবে। তার জন্য আপনাদেরকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা Block Development Officer Office (BDO). যোগাযোগ করতে হবে।
  • নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন গুলিকে জমা করতে হবে, যেমন গোষ্ঠীর সদস্যদের তালিকা, গোষ্ঠীর কার্যক্রমের বিবরণ ইত্যাদি।
  • স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নিবন্ধনের পর, গোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্যদের জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
  • আবেদন পত্রে গোষ্ঠীর সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, জীবিকা উন্নয়নের পরিকল্পনা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
  • এরপর পূরণকৃত আবেদন পত্র এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক অফিসে জমা দিতে হবে।
  • জমাকৃত আবেদনগুলি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা যাচাই করা হবে। যাচাই প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কার্যক্রম ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে।
  • একবার যাচাই প্রক্রিয়ায় অনুমোদিত হলে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা Anandadhara Scheme-এর আওতায় আর্থিক সহযোগিতা ও ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

anandadhara scheme Documents

  • আবেদনকারীর আধার কার্ড বা অন্য কোনো পরিচয়পত্র
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র
  • আর্থিক অবস্থা প্রমাণকারী নথি (যেমন BPL কার্ড)
  • স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নিবন্ধন সনদ
  • ব্যাংক একাউন্টের বিবরণ

Conclusion

Anandadhara Scheme পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ উন্নয়নের একটি মাইলফলক। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক মহিলাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, মহিলাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে, এবং সামাজিক সুরক্ষার মাধ্যমে তারা সুরক্ষিত জীবনযাপন করতে পারছে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হয়ে গ্রামের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি সুদৃঢ় হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

Leave a comment